Wellcome to National Portal

আমরা কি সঠিক ভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছি?   >>ব্যবহার শেষে আপনার বাড়ি ও অফিসের বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির সুইচ বন্ধ করুন । একটি কম্পিউটার যা ২৪ ঘন্টা চলে তা একটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ফ্রিজের চেয়ে বেশি শক্তি গ্রহন করে । >>যদি কম্পিউটার অন রাখতেই হয় সেক্ষেত্রে মনিটর বন্ধ রাখা উচিত কারন মনিটর একাই সিস্টেমের ৫০% এর বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করে । >>কম্পিউটার, মনিটর এবং কপি মেশিন সমূহ ব্যবহার শেষে স্লিপ-মোডে রাখা উচিত, এতে প্রায় ৪০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়ে থাকে। >>ব্যাটারি চার্জার (যেমন- ল্যাপটপ, সেল ফোন এবং ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদির) সমূহ প্লাগ ইন করে রাখলে তারা শক্তি গ্রহন করতে থাকে সুতরাং চার্জার বৈদ্যুতিক পয়েন্ট থেকে খুলে রাখা উচিত । >>স্ক্রীন সেভার স্ক্রীন সেভ করে শক্তি নয় । কাজ শেষে কম্পিউটার বন্ধ করলে শক্তি সংরক্ষিত হয় । স্টার্ট আপ বা শাট ডাউন করতে কোন অতিরিক্ত শক্তি খরচ হয় না কিন্ত এর ফলে আপনার যন্ত্র ভাল থাকবে এবং শক্তি সংরক্ষন হবে। >>আমাদের অন্যতম প্রধান শক্তি সাশ্রয়ী যন্ত্র হলো সুইচ, ব্যবহার শেষে আপনার লাইট বন্ধ করুন । >>নোংরা টিউব লাইট এবং বাল্ব প্রায় ৫০% আলো শোষন করে নেয় । আপনার টিউব লাইট এবং বাল্ব নিয়মিত পরিস্কার করুন । >>ফ্লুরোসেন্ট টিউব লাইট এবং সিএফএল বাল্ব সাধারন বাল্ব এর তুলনায় ৫গুন অধিক কার্যকর এবং প্রায় ৭০ ভাগ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে সমপরিমান আলো প্রদান করে । >>সাধারন বাল্ব দারা গ্রহনকৃত শক্তির ৯০ভাগ তাপে পরিনত হয়, আলোতে পরিনত হবার পরিবর্তে । >>১৫ ওয়াটের ফ্লুরোসেন্ট বাল্ব ৬০ ওয়াটের ইনক্যানডিসেন্ট বাল্ব এর সমপরিমান আলো প্রদান করে । >>ওয়াটার হিটারের তাপমাত্রা ৬০ থেকে ৫০ ডিগ্রী তে নামিয়ে ব্যবহৃত শক্তি এর ১৮ ভাগ সাশ্রয় করতে পারেন। >>তাপ শক্তির অপচয় কমাতে আপনার গরম পানির পাইপে ইনসুলেটর ব্যবহার করুন । >>পানি গরম করার জন্য ইলেক্ট্রিক কেটলি ব্যবহার করুন, ইলেক্ট্রিক কুক পট এর তুলনায় কেটলি ব্যবহার করা বিদ্যুৎ  সাশয়ী। >>আপনার সকল কাপড় একসাথে আয়রন  করুন । আয়রন  করা কালীন ইস্ত্রিটি কে সুইচ অন অবস্থায় সোজা করে রাখলেও তা বিদ্যুৎ  গ্রহন করতে থাকবে এবং বিদ্যুৎ  অপচয় হবে । >>ফ্রিজে গরম খাবার রাখবেন না । >>ঘরের দেয়াল, ছাঁদ, পর্দা ও আসবাবপত্র সমূহে অধিক পরিমানে সাদা রঙ এর ব্যবহার ঘর কে উজ্জ্বলতর করে । এতে অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়ে থাকে । >>খাবারের পরিমান বেশি না হলে ফ্রিজ খুব নিম্ন তাপমাত্রায় রাখা প্রয়োজনীয় নয় । >>দিনের বেলায় দরজা জানালা দিয়ে আগত প্রাকৃতিক আলো ব্যবহারের মাধ্যমে কৃত্রিম আলোর ব্যবহার কমানো সম্ভব । >>যে সকল ফ্রীজ আটো ডিফ্রস্ট তারা অধিক পরিমান বিদ্যুৎ গ্রহন করে, উপরন্ত বড়ো ফ্রীজ বেশি বিদ্যুৎ  ব্যবহার করে ।

মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কৌশল সমূহ
বিস্তারিত

অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়িতে আমরা যেভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে পারিঃ 

০১) এলইডি লাইটসহ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সরঞ্জাম ব্যবহার করা।

০২) একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এসি বন্ধ রাখা তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখা ।

০৩) বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টারযুক্ত এসি ও ফ্রিজ ব্যবহার কাজ ব্যতীত অফিসের কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ পাওয়ার সেভিং মোডে রাখা রুম থেকে বের হওয়ার আগে ফ্যান, লাইট বন্ধ করা ।

০৪) বাড়তি আলোকসজ্জা সম্পূর্ণ পরিহার করা আলোর উজ্জ্বলতা বাড়াতে দেয়ালে উপযুক্ত রঙ ব্যবহার করা।

০৫) দিনের আলোকে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা  ।

০৬) নেট মিটারিং এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে জাতীয় গ্রিডের উপর চাপ কমানো।


আসুন বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হই। যেটা দেশের জন্য ভাল, সেটা প্রত্যকের জন্যই ভাল।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
06/04/2023
আর্কাইভ তারিখ
31/12/2023